মহিলাকে বেঁধে রেখে অবাধে লুটপাট , চাঞ্চল‍্য বাঁকুড়া শহরে

15th March 2020 বাঁকুড়া
মহিলাকে বেঁধে রেখে অবাধে লুটপাট , চাঞ্চল‍্য বাঁকুড়া শহরে


প্রবল বৃষ্টির মধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে বেঁধে রেখে লুঠপাট চালালো দুষ্কৃতিরা।  বাঁকুড়া শহরের হাট মহাতাপ লেনের ঘটনা।

  স্থানীয় সূত্রে খবর, শহরের হাটমহাতপ লেনে নিজের বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী চৈতালী দত্ত থাকতেন। তিনি কাপড় ব্যবসার পাশাপাশি বাড়িতে একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। এদিন সকালে চৈতালী দত্তের স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলে সংখ্যায় সাত আট জন ব্যক্তি আয়কর দপ্তরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে ঢোকে। বাড়িতে ঢোকার পরমুহূর্তেই ঐ দুষ্কৃতিরা চৈতালী দত্তকে বেঁধে ফেলার পাশাপাশি ইঞ্জেকশান দেয় বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বাড়িতে অবাধে লুঠপাঠ চালিয়ে চম্পট দেয়। বাড়ির কাজের লোক এসে গৃহকর্ত্রীকে বাড়ির বারান্দায় বাঁধা থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। ঘটনার খবর পেয়ে আসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশও। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরুর পাশাপাশি অসুস্থ চৈতালী দত্তকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যানক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

   চৈতালী দত্তের মামা সত্যেন দত্ত বলেন, বাঁকুড়া শহরে দিনে দুপুরে এই ধরণের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। তার ভাগনীকে ইঞ্জেকশান দিয়ে অচেতন করে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

      প্রতিবেশী অসিত পাল বলেন, সাদা গাড়িতে চেপে দুষ্কৃতি দলটি এসেছিল। এই ঘটনার পর তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে তিনি জানান।

    ছবি : দেবব্রত মন্ডল





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।